কুহেলির হিমশয্যা অপসারি ধীরে
রূপময়ী তন্বী মাধবীরে
ধরণী বরিয়অ লয় বারে -বারে-বারে!
--আমাদের অশ্রুর পাথারে
ফুটে ওঠে সচকিতে উত্সবের হাসি,
অপরূপ বিলাসের বাঁশি!
ভগ্ন-প্রতিমারে মোরা জীবনের বেদীতটে আরবার গড়ি,
ওফনাময় সুরাপাত্র ধরি
ভুলে যাই বিষের আস্বাদ!
মোহময় যৌবনের সাধ
আতপ্ত করিয়া তোলে স্থবিরের তুহিন- অধর!
চির-মৃতু্যচর
হে মৌন শ্মশান,
ধূম -অবগুন্ঠনের অন্ধকারে আবরি বয়ান
হেরিতেছ কিসের স্বপন!
ক্ষনে ক্ষণে রক্তবহ্নি করি নিবাপন
স্ত্মব্ধ করি রাখিতেছ বিরহীর ক্রন্দনের ধ্বনি!
তব মুখ-পানে চেয়ে কবে বৈতরণী
হয়ে গেছে কলহীন!
বক্ষে তব হিম হয়ে আছে কত উগ্রশিখা চিতা
হে অনাদি পিতা!
ভষ্মগর্ভে, --মরণের অকূল শিয়রে
জন্নযুগ দিতেছ প্রহরা,--
কবে বসুন্ধরা
মৃতু্যগাঢ় মদিরার শেষ পাত্রখানি
তুলে দেবে হস্ত্মে তব, -কবে লবে টানি
কন্কাল- অঙ্গুলি তুলি শ্যামা ধরণীরে
শ্নাশান -তিমিরন,
লোলুপ নয়ন মেলি হেরিবে তাহার বিবসনা শোভা
দিব্য মনোলোভা!
কোটি কোটি চিতা -ফণা দিয়া
রূপসীর অঙ্গ আলিঙ্গিয়া
শুষে নেবে সৌন্দর্যের তামরস-মধু!
এবমুধা-বধূ
আপনারে ডারি দেবে উরসে তোমার!
ধ্বক্ ধ্বক্ দারুণ তৃষ্ঞার
রসনা মেলিয়া--
অপেক্ষায় জেগে আছে শ্নাশানের হিয়া!
আরোকে-আধারে
অগণন চিতার দুয়ারে
যেতেছে সে ছুটে,
তৃপ্তিহীন তিক্ত বক্ষপুটে
আনিতেছে নব=মৃদ্যু-পথিকেরে ডাকি,
তুলিতেছে রক্ত-ধূম্র -আখি!
--নিরাশার দীঘ শ্বাস শুধু
বৈতরণীমরু ঘেরি জ্বলে যায় ধূ ধূ,
আসে না প্রেয়সী!
--নিদ্রাহীন শশী,
আকাশের অনাদি তারকা,
রহিয়াছে জেগে তার সনে ;
শ্নাশানের হিম বাতায়নে
শত শত প্রেতবধূ দিয়ে যায় দেখা,-
তবু সে যে পড়ে আছে একা,
বিমনা-বিরহী!
বক্ষে তার কত লক্ষ সভ্যতার স্মৃতি গেছে দহি,
কত শৌর্য -সাম্রাজ্যের সীমা
প্রেম-পুণ্য -পূজার গরিমা
অকলন্ক সৌন্দর্যের বিভা
গৌরবের দিবা!
--তবু তার মেটে নাই তৃষা;
বিচ্ছেদের নিশা
অহো তার হয় নাই শেষ!
অশ্রান্ত্ম অঙ্গুলি সে যে করিছে নির্দেশ
অবনীর পক্ববিম্ব অ:রের পর !
পাতাঝরা হেমন্ত্মের স্বর
করে দেয় সচকিত তারে
মিানী-পাথারে
কুয়াশাপুরীর মৌ ন জালায়ন তুলে
চেয়ে থাকা অাঁধারে অকূলে
সুদূরের পানে|
বৈতরণীখেয়াঘাটে মরণ--সন্ধানে
এল কি রে জাহ্নবীর শেষ ঊর্মিধারা!
অপার শ্মশান জুড়ি জ্বলে লক্ষ চিতাবহ্নি, --কামনা-সাহারা!
রূপময়ী তন্বী মাধবীরে
ধরণী বরিয়অ লয় বারে -বারে-বারে!
--আমাদের অশ্রুর পাথারে
ফুটে ওঠে সচকিতে উত্সবের হাসি,
অপরূপ বিলাসের বাঁশি!
ভগ্ন-প্রতিমারে মোরা জীবনের বেদীতটে আরবার গড়ি,
ওফনাময় সুরাপাত্র ধরি
ভুলে যাই বিষের আস্বাদ!
মোহময় যৌবনের সাধ
আতপ্ত করিয়া তোলে স্থবিরের তুহিন- অধর!
চির-মৃতু্যচর
হে মৌন শ্মশান,
ধূম -অবগুন্ঠনের অন্ধকারে আবরি বয়ান
হেরিতেছ কিসের স্বপন!
ক্ষনে ক্ষণে রক্তবহ্নি করি নিবাপন
স্ত্মব্ধ করি রাখিতেছ বিরহীর ক্রন্দনের ধ্বনি!
তব মুখ-পানে চেয়ে কবে বৈতরণী
হয়ে গেছে কলহীন!
বক্ষে তব হিম হয়ে আছে কত উগ্রশিখা চিতা
হে অনাদি পিতা!
ভষ্মগর্ভে, --মরণের অকূল শিয়রে
জন্নযুগ দিতেছ প্রহরা,--
কবে বসুন্ধরা
মৃতু্যগাঢ় মদিরার শেষ পাত্রখানি
তুলে দেবে হস্ত্মে তব, -কবে লবে টানি
কন্কাল- অঙ্গুলি তুলি শ্যামা ধরণীরে
শ্নাশান -তিমিরন,
লোলুপ নয়ন মেলি হেরিবে তাহার বিবসনা শোভা
দিব্য মনোলোভা!
কোটি কোটি চিতা -ফণা দিয়া
রূপসীর অঙ্গ আলিঙ্গিয়া
শুষে নেবে সৌন্দর্যের তামরস-মধু!
এবমুধা-বধূ
আপনারে ডারি দেবে উরসে তোমার!
ধ্বক্ ধ্বক্ দারুণ তৃষ্ঞার
রসনা মেলিয়া--
অপেক্ষায় জেগে আছে শ্নাশানের হিয়া!
আরোকে-আধারে
অগণন চিতার দুয়ারে
যেতেছে সে ছুটে,
তৃপ্তিহীন তিক্ত বক্ষপুটে
আনিতেছে নব=মৃদ্যু-পথিকেরে ডাকি,
তুলিতেছে রক্ত-ধূম্র -আখি!
--নিরাশার দীঘ শ্বাস শুধু
বৈতরণীমরু ঘেরি জ্বলে যায় ধূ ধূ,
আসে না প্রেয়সী!
--নিদ্রাহীন শশী,
আকাশের অনাদি তারকা,
রহিয়াছে জেগে তার সনে ;
শ্নাশানের হিম বাতায়নে
শত শত প্রেতবধূ দিয়ে যায় দেখা,-
তবু সে যে পড়ে আছে একা,
বিমনা-বিরহী!
বক্ষে তার কত লক্ষ সভ্যতার স্মৃতি গেছে দহি,
কত শৌর্য -সাম্রাজ্যের সীমা
প্রেম-পুণ্য -পূজার গরিমা
অকলন্ক সৌন্দর্যের বিভা
গৌরবের দিবা!
--তবু তার মেটে নাই তৃষা;
বিচ্ছেদের নিশা
অহো তার হয় নাই শেষ!
অশ্রান্ত্ম অঙ্গুলি সে যে করিছে নির্দেশ
অবনীর পক্ববিম্ব অ:রের পর !
পাতাঝরা হেমন্ত্মের স্বর
করে দেয় সচকিত তারে
মিানী-পাথারে
কুয়াশাপুরীর মৌ ন জালায়ন তুলে
চেয়ে থাকা অাঁধারে অকূলে
সুদূরের পানে|
বৈতরণীখেয়াঘাটে মরণ--সন্ধানে
এল কি রে জাহ্নবীর শেষ ঊর্মিধারা!
অপার শ্মশান জুড়ি জ্বলে লক্ষ চিতাবহ্নি, --কামনা-সাহারা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন