ভালোবাসিয়াছি আমি অস্তচাঁদ--কèান্ত্ম শেষপ্রহরের শষী!
--অঘোর ঘুমের ঘোরে ঢলে কালো নদী,-ঢেউয়ের কলসী,
নিঝ্ঝুম বিছানার পরে
মেঘ- বৌর খোপাখসা জ্যোত্স্নাফুল চুপে চুপে ঝরে,-
চেয়ে থাকি চোখ তুলে -- যেন মোর পলাতক প্রিয়া
মেঘের ঘোমটা তুলে প্রেত-চাঁদে সচকিতে ওঠে শিহরিয়া!
সে যেন দেখেছে মোরে জন্নে জন্নে ফিরে ফিরে ফিরে
মাঠে ঘাটেএকা একা,-বুনোহাঁস জোনাকির ভিরে!
দুশ্চল দেউলে কোন্ --কোন্ যক্ষ- প্রাসাদের তটে,
দূর উর--ব্যাবিলোন্ --মিশরের মরুভূ -সষ্কটে,
কোথা পিরামিডেতলে,- ঈসিসের বেদিকার মূলে,
কেউটের মতো নীলা যেউখানে ফণা তুলে উঠিয়াছে ফুলে,
কোন মন-ভুলানিয়া পথচাওয়া দুলালী সনে
আমারে দেখেছে জ্যোত্স্না,-চোর চোখ- অলস নয়নে|
আমারে দেখেছে যে সে আসীরীয় সম্রাটের বেশে
প্রাসাদ-অলিন্দে যবে মহিমায় দাঁড়ায়েছি এসে,-
হাতে তার হাত, পায়ে তার হাতিয়ার রাখি
কুমারীর পানে আমি তুলিয়াছি আনন্দের আরক্তিম আwঁখ!
ভোরগেলাসের সুরা,--তহুরা, -- করেছি মোরা চুপে চুেপ পান,
চকোরজুড়ির মতো কুহরিয়া গাহিয়াছি চাঁদিনীর গান!
পেয়ালায়-পায়েলায় সেই নিশি হয়নি উতলা,
নী নিচোলের কোলে নাচে নাই আকাশের তলা|
নটিরা ঘুমায়েছিল পুরে পুরে, ঘুমে রাজবধূ,-
চুরি করে পিয়েছনু ক্রীতদাসী বালিকার যৌবনের মধু!
সম্রাঞ্জীর নিদয় অাঁখির দর্প বিদ্রপ ভুলিয়া
কৃষ্ঞাতিথি- চাঁদিনীর তলে আমি ষোড়শীর উরু পরশিয়া
লভেছিনু উল্লাস,-উতরোল!--আজ পড়ে মনে
সাধ-বিষাদের খেদ কত জন্নজন্নান্ত্মের,-রাতের নির্জনে!
আমি ছিনু ক্রবেদূর্ কোন্ দূর প্রভেন্স্- প্রান্ত্মরে!
--দেউলিয়া পায়দল,-- অগোচর মনচোর-মানিনীতরে
সারেঙের সুর মোর এমনি উদাস রাত্রে উঠিত ঝন্কারি!
আঙুরলতা ঘেরা ঘুমঘোর ঘরখানা ছাড়ি
ঘুঘুর পাখনা মেলি মোর পানে আসিল পিয়ারা;
মেঘের ময়ূরপাখে জেগেছিল এলোমেলো তারা !
--অলিভ্ পাতার ফাঁকে চুনচোখে চেয়েছিল চাঁদ,
ুমিলননিশার শেষে--বৃশ্চিক, গোক্ষুরাফণা,-- বিষের বিস্বাদ!
স্পেইনের সিয়েরায় ছিনু আমি দসু্য--অশ্বরোহী,-- নির্মম-কুতৃন্ত্ম-কাল,--তবু কি যে কাতর--বিরহী!
কোন্ রাজনন্দিনীর ঠোঁটে আমি এঁকেছিনু বর্বর চুম্বন!
অন্দরে পশিয়াছিনু অবেলার ঝড়ের মতন!
তখন রতনশেজে গিয়েছিল নিভে মধুরাতি,
নীল জানালার পাশে--ভাঙা হাটে--চাঁদের বেসাতি!
চুপে চুপে মুখে কার পড়েছিনু ঝুঁকে!
ব্যাধের মতন আম টেনেছিনু বুকে
কোন ভীরু কপোতরি উডু উডু ডানা!
--কালো মেঘে কেঁদেছিল অস্তচাঁদ--আলোর মোহানা!
বাংলার মাঠে ঘাটে ফিরেছিনু বেণু হাতে একা,
গঙ্গার তীরে কবে কার সাথে হয়েছিল দেখা!
ফুলটি ফুটিলে চাঁদিনী উঠিলে এমনই রূপালি রাতে
কদমতলায় দাঁড়াতাম গিয়ে বাঁশের বাঁশিটি হাতে!
অপরাজিতার ঝাড়ে--নদীপারে কিশোরী লুকায়ে বুুঝি!--
মদনমোহন নয়ন আমার পেয়েছিল তারে খুঁজি!
তারি লাগি বেঁধেছিনু বাঁকা চুলে ময়ূরপাখার চূড়া,
তাহারি লাগিয়া শুঁড়ি সেজেছিনু,--ঢেলে দিয়েছিনু সুরা!
তাহারি নধর অধর নিঙাড়ি উথলিল বুকে মধ্র,
জোনাকির সাথে ভেসে শেষরাতে দাঁড়াতাম দোরে বঁধু!
মনে পড়ে কি তা!--চাঁদ জানে যাহা,--জানে যা কৃষ্ঞাতিথির শশী,
বুকের আগুনে খুন চড়ে,--মুখ চুন হয়ে যায় একেলা বসি!
--অঘোর ঘুমের ঘোরে ঢলে কালো নদী,-ঢেউয়ের কলসী,
নিঝ্ঝুম বিছানার পরে
মেঘ- বৌর খোপাখসা জ্যোত্স্নাফুল চুপে চুপে ঝরে,-
চেয়ে থাকি চোখ তুলে -- যেন মোর পলাতক প্রিয়া
মেঘের ঘোমটা তুলে প্রেত-চাঁদে সচকিতে ওঠে শিহরিয়া!
সে যেন দেখেছে মোরে জন্নে জন্নে ফিরে ফিরে ফিরে
মাঠে ঘাটেএকা একা,-বুনোহাঁস জোনাকির ভিরে!
দুশ্চল দেউলে কোন্ --কোন্ যক্ষ- প্রাসাদের তটে,
দূর উর--ব্যাবিলোন্ --মিশরের মরুভূ -সষ্কটে,
কোথা পিরামিডেতলে,- ঈসিসের বেদিকার মূলে,
কেউটের মতো নীলা যেউখানে ফণা তুলে উঠিয়াছে ফুলে,
কোন মন-ভুলানিয়া পথচাওয়া দুলালী সনে
আমারে দেখেছে জ্যোত্স্না,-চোর চোখ- অলস নয়নে|
আমারে দেখেছে যে সে আসীরীয় সম্রাটের বেশে
প্রাসাদ-অলিন্দে যবে মহিমায় দাঁড়ায়েছি এসে,-
হাতে তার হাত, পায়ে তার হাতিয়ার রাখি
কুমারীর পানে আমি তুলিয়াছি আনন্দের আরক্তিম আwঁখ!
ভোরগেলাসের সুরা,--তহুরা, -- করেছি মোরা চুপে চুেপ পান,
চকোরজুড়ির মতো কুহরিয়া গাহিয়াছি চাঁদিনীর গান!
পেয়ালায়-পায়েলায় সেই নিশি হয়নি উতলা,
নী নিচোলের কোলে নাচে নাই আকাশের তলা|
নটিরা ঘুমায়েছিল পুরে পুরে, ঘুমে রাজবধূ,-
চুরি করে পিয়েছনু ক্রীতদাসী বালিকার যৌবনের মধু!
সম্রাঞ্জীর নিদয় অাঁখির দর্প বিদ্রপ ভুলিয়া
কৃষ্ঞাতিথি- চাঁদিনীর তলে আমি ষোড়শীর উরু পরশিয়া
লভেছিনু উল্লাস,-উতরোল!--আজ পড়ে মনে
সাধ-বিষাদের খেদ কত জন্নজন্নান্ত্মের,-রাতের নির্জনে!
আমি ছিনু ক্রবেদূর্ কোন্ দূর প্রভেন্স্- প্রান্ত্মরে!
--দেউলিয়া পায়দল,-- অগোচর মনচোর-মানিনীতরে
সারেঙের সুর মোর এমনি উদাস রাত্রে উঠিত ঝন্কারি!
আঙুরলতা ঘেরা ঘুমঘোর ঘরখানা ছাড়ি
ঘুঘুর পাখনা মেলি মোর পানে আসিল পিয়ারা;
মেঘের ময়ূরপাখে জেগেছিল এলোমেলো তারা !
--অলিভ্ পাতার ফাঁকে চুনচোখে চেয়েছিল চাঁদ,
ুমিলননিশার শেষে--বৃশ্চিক, গোক্ষুরাফণা,-- বিষের বিস্বাদ!
স্পেইনের সিয়েরায় ছিনু আমি দসু্য--অশ্বরোহী,-- নির্মম-কুতৃন্ত্ম-কাল,--তবু কি যে কাতর--বিরহী!
কোন্ রাজনন্দিনীর ঠোঁটে আমি এঁকেছিনু বর্বর চুম্বন!
অন্দরে পশিয়াছিনু অবেলার ঝড়ের মতন!
তখন রতনশেজে গিয়েছিল নিভে মধুরাতি,
নীল জানালার পাশে--ভাঙা হাটে--চাঁদের বেসাতি!
চুপে চুপে মুখে কার পড়েছিনু ঝুঁকে!
ব্যাধের মতন আম টেনেছিনু বুকে
কোন ভীরু কপোতরি উডু উডু ডানা!
--কালো মেঘে কেঁদেছিল অস্তচাঁদ--আলোর মোহানা!
বাংলার মাঠে ঘাটে ফিরেছিনু বেণু হাতে একা,
গঙ্গার তীরে কবে কার সাথে হয়েছিল দেখা!
ফুলটি ফুটিলে চাঁদিনী উঠিলে এমনই রূপালি রাতে
কদমতলায় দাঁড়াতাম গিয়ে বাঁশের বাঁশিটি হাতে!
অপরাজিতার ঝাড়ে--নদীপারে কিশোরী লুকায়ে বুুঝি!--
মদনমোহন নয়ন আমার পেয়েছিল তারে খুঁজি!
তারি লাগি বেঁধেছিনু বাঁকা চুলে ময়ূরপাখার চূড়া,
তাহারি লাগিয়া শুঁড়ি সেজেছিনু,--ঢেলে দিয়েছিনু সুরা!
তাহারি নধর অধর নিঙাড়ি উথলিল বুকে মধ্র,
জোনাকির সাথে ভেসে শেষরাতে দাঁড়াতাম দোরে বঁধু!
মনে পড়ে কি তা!--চাঁদ জানে যাহা,--জানে যা কৃষ্ঞাতিথির শশী,
বুকের আগুনে খুন চড়ে,--মুখ চুন হয়ে যায় একেলা বসি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন