করে তব হৃদয়ের নদী
বরি নিল অসম্বৃত সুনীল জলধি!
সাগর-শকুন্ত্ম-সম উল্লাসের রবে
দূর সিন্ধু-ঝটিকার নভে
বাজিয়া উঠিল তব দূরন্ত্ম যৌবন!
--পৃথ্বীর বেলায় বসি কেঁদে মরে আমাদের শৃঙ্খলিতমন!
কারাগার-মর্মরের তলে
নিরাশ্রয় বন্দীদের খেদ-কোলাহলে
ভরে যায় বসুধার আহত আকাশ!
অবনত শিরে মোরা ফিরিতেছি ঘৃণ্য বিধিবিধানের দাস!-
--সহস্রের অঙ্গুলিতর্জন
নিত্য সহিতেছি মোরা,--বারিধির বিপ্লব-গর্জন
বরিয়া লয়েছ তুমি,--তারে তুমি বাসিয়াছ ভালো;
তোমার পঞ্জরতলে টগবগ্ করে খুন--দূরন্ত্ম ঝাঁঝালো!
তাই তুমি পদাঘাতে ভেঙে গলে অচেতনবসুধার দ্বার,
অবগুন্ঠিতার
হিমকৃষ্ঞ অঙ্গুলির কন্কাল-পরশ
পরিহরি গেলে তুমি,--মৃত্তিকার মদ্যহীন রস
তুহিন নির্বিষ নিঃস্ব পানপাত্রখানা
চকিতে চূর্ণিয়া গেলে,--সীমাহারা আকাশের নীল শামিয়ানা
বাড়ব-আরক্ত স্ফীত বারিধির তট,
তরঙ্গের তুঙ্গ গিরি, দুর্গম সন্কট
তোমারে ডাকিয়া নিল মায়াবীর রাঙা মুখ তুলি!
নিমেষে ফেলিয়া গেলে ধরণীর শূন্য ভিক্ষাঝুলি!
প্রিয়ার পাণ্ডুর আঁখি অশ্রু-কুহেলিকা-মাখা গেলে তুমি ভুলি!
ভিেল গেলে ভীরু হৃদিেয়র ভিক্ষা, আতুরের লজ্জা অবসাদ
অগাধের সাধ
তোমারে সাজায়ে দেছে ঘরছাড়া ক্ষ্যাপা সিন্দবাদব!
মণিময় তোরণের তীরে
মৃত্তিকার প্রমোদ-মন্দিরে
নৃত্য-গীত-হাসি-অশ্রু-উত্সবের ফাঁদে
হে দূরন্ত্ম দুর্নিবার,--প্রাণ তব কাঁদে!
ছেড়ে গেলে মর্মন্তুদ সর্মর বেষ্টন,
সমুদ্রের যৌবন-গর্জন
তোমারে ক্ষ্যাপায়ে দেছে, ওহে বীর-শের|
টাইফুন-ডন্কার হর্ষে ভুলে গছে অতীত-আখের
হে জলধি-পাখি!
পক্ষে তব নাচিতেছে লক্ষ্যহারা দামিনী-বৈশাখী!
ললাটে জ্বলিছে তব উদয়াস্ত্ম আকাশের রত্নচুড় ময়ূখের টিপ,
কোন্ দূর দারুচিনি লবঙ্গের সুবাসিত দ্বীপ
করিতেছে বিভ্রান্ত্ম তোমারে!
বিচিত্র বিহঙ্গ কোন্ মনিময় তোরণের দ্বারে
সহর্ষ নয়ন মেলি হেরিয়াছ কবে!
কোথা দূরে মায়াবনে পরীদল মেতেছে উত্সবে,--
স্ত্মম্ভিত নয়নে
নীল বাতায়নে
তাকায়েছ তুমি!
অতিদূর আকাশের সন্ধ্যারাগ-প্রতিবিম্বে প্রস্ফুটিত সমুদ্রের
আচম্বিত ইন্দ্রজাল চুমি
সাজিয়াছ বিচিত্র মায়াবী!
সৃজনের জাদুঘর-রহস্যের চাবি
আনিয়াছ কবে উণ্মোচিয়া
হে জল-বেদিয়া!
অলক্ষ্য বন্দর পানে ছুটিতেছ তুমি চিশিদিন
সিন্ধু-বেদুইন!
নাহি গৃহ--নাহি পান্থশালা--
লক্ষ লক্ষ ঊর্মি-নাগবালা
তোমারে নিতেছে ডেকে রহস্য-পাতালে--
বারুনী যেথঅয় তার সণিদীপ জ্বালে!
প্রবাল-পালন্ক-পাশে মীননারী ঢুলায় চামর!
সেই দূরাশার মোহে ভুলে গেছ পিছু-ডাকা স্বর,
ভুলেছ নোঙর!
কোন দূর কুহকের কূল
লক্ষ্য করি ছুটিতেছেঠ নাবিকের হৃদয়-মাস্ত্মল
কেবা তাহা জানে!
অচিন আকাশ তারে কোন কথা কয় কানে কানে!
বরি নিল অসম্বৃত সুনীল জলধি!
সাগর-শকুন্ত্ম-সম উল্লাসের রবে
দূর সিন্ধু-ঝটিকার নভে
বাজিয়া উঠিল তব দূরন্ত্ম যৌবন!
--পৃথ্বীর বেলায় বসি কেঁদে মরে আমাদের শৃঙ্খলিতমন!
কারাগার-মর্মরের তলে
নিরাশ্রয় বন্দীদের খেদ-কোলাহলে
ভরে যায় বসুধার আহত আকাশ!
অবনত শিরে মোরা ফিরিতেছি ঘৃণ্য বিধিবিধানের দাস!-
--সহস্রের অঙ্গুলিতর্জন
নিত্য সহিতেছি মোরা,--বারিধির বিপ্লব-গর্জন
বরিয়া লয়েছ তুমি,--তারে তুমি বাসিয়াছ ভালো;
তোমার পঞ্জরতলে টগবগ্ করে খুন--দূরন্ত্ম ঝাঁঝালো!
তাই তুমি পদাঘাতে ভেঙে গলে অচেতনবসুধার দ্বার,
অবগুন্ঠিতার
হিমকৃষ্ঞ অঙ্গুলির কন্কাল-পরশ
পরিহরি গেলে তুমি,--মৃত্তিকার মদ্যহীন রস
তুহিন নির্বিষ নিঃস্ব পানপাত্রখানা
চকিতে চূর্ণিয়া গেলে,--সীমাহারা আকাশের নীল শামিয়ানা
বাড়ব-আরক্ত স্ফীত বারিধির তট,
তরঙ্গের তুঙ্গ গিরি, দুর্গম সন্কট
তোমারে ডাকিয়া নিল মায়াবীর রাঙা মুখ তুলি!
নিমেষে ফেলিয়া গেলে ধরণীর শূন্য ভিক্ষাঝুলি!
প্রিয়ার পাণ্ডুর আঁখি অশ্রু-কুহেলিকা-মাখা গেলে তুমি ভুলি!
ভিেল গেলে ভীরু হৃদিেয়র ভিক্ষা, আতুরের লজ্জা অবসাদ
অগাধের সাধ
তোমারে সাজায়ে দেছে ঘরছাড়া ক্ষ্যাপা সিন্দবাদব!
মণিময় তোরণের তীরে
মৃত্তিকার প্রমোদ-মন্দিরে
নৃত্য-গীত-হাসি-অশ্রু-উত্সবের ফাঁদে
হে দূরন্ত্ম দুর্নিবার,--প্রাণ তব কাঁদে!
ছেড়ে গেলে মর্মন্তুদ সর্মর বেষ্টন,
সমুদ্রের যৌবন-গর্জন
তোমারে ক্ষ্যাপায়ে দেছে, ওহে বীর-শের|
টাইফুন-ডন্কার হর্ষে ভুলে গছে অতীত-আখের
হে জলধি-পাখি!
পক্ষে তব নাচিতেছে লক্ষ্যহারা দামিনী-বৈশাখী!
ললাটে জ্বলিছে তব উদয়াস্ত্ম আকাশের রত্নচুড় ময়ূখের টিপ,
কোন্ দূর দারুচিনি লবঙ্গের সুবাসিত দ্বীপ
করিতেছে বিভ্রান্ত্ম তোমারে!
বিচিত্র বিহঙ্গ কোন্ মনিময় তোরণের দ্বারে
সহর্ষ নয়ন মেলি হেরিয়াছ কবে!
কোথা দূরে মায়াবনে পরীদল মেতেছে উত্সবে,--
স্ত্মম্ভিত নয়নে
নীল বাতায়নে
তাকায়েছ তুমি!
অতিদূর আকাশের সন্ধ্যারাগ-প্রতিবিম্বে প্রস্ফুটিত সমুদ্রের
আচম্বিত ইন্দ্রজাল চুমি
সাজিয়াছ বিচিত্র মায়াবী!
সৃজনের জাদুঘর-রহস্যের চাবি
আনিয়াছ কবে উণ্মোচিয়া
হে জল-বেদিয়া!
অলক্ষ্য বন্দর পানে ছুটিতেছ তুমি চিশিদিন
সিন্ধু-বেদুইন!
নাহি গৃহ--নাহি পান্থশালা--
লক্ষ লক্ষ ঊর্মি-নাগবালা
তোমারে নিতেছে ডেকে রহস্য-পাতালে--
বারুনী যেথঅয় তার সণিদীপ জ্বালে!
প্রবাল-পালন্ক-পাশে মীননারী ঢুলায় চামর!
সেই দূরাশার মোহে ভুলে গেছ পিছু-ডাকা স্বর,
ভুলেছ নোঙর!
কোন দূর কুহকের কূল
লক্ষ্য করি ছুটিতেছেঠ নাবিকের হৃদয়-মাস্ত্মল
কেবা তাহা জানে!
অচিন আকাশ তারে কোন কথা কয় কানে কানে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন