চুলিচালা সব ফেলেছে সে ভেঙে, পিঞ্জিরহারা পাখি!
পিছু -ডাকে কভু আসে না ফিরিয়া, কে তারে আনবি ডাকি ?
উদাস উদাও হাওয়ার মতন চনিতে যায় সে উড়ে,
গলাটি তাহার সেধেছে অবাধ নদী-ঝণা©র সুরে ;
নয় সে বান্দা রংমহলের, মোতিমহলের বাঁদী,
ঝোড়ো হাওয়া সে যে, গৃহ-প্রাঙ্গনে কে তারে রাখিবে বাঁধি!
কোন্ সুদূরের বেনামী পথের নিশানা নেছে সে চিনি,
ব্যর্থ ব্যথিত প্রান্ত্মর তার চরন-চিহ্ন বিনে !
যুগযুগান্ত্ম কত কান্ত্মার তার পানে আছে চেয়ে,
কবে সে আসিবে ঊষর ধূসর বালুকা-পথটি বেয়ে,
তারি প্রতীক্ষা মেগে বসে আছে ব্যাকুল বিজন মরু|
দিকে দিকে কত নদী- নির্ঝর কত গিরি-চুড়া-তরু
ঐ বাঞ্ছিত বন্ধুর তরে আসন রেখেছে পেতে
কালো-মৃত্তিকা ঝরা-কুসুমের বন্দনা-মালা গেঁথে
ছড়ায়ে পরিছে দিকেদিগন্ত্মে ক্ষ্যাপা পথিকের লাগি!
বাবলা বনের মৃদুল গন্ধে বন্ধুর দেখা মেগি
লুটায়ে রয়েছে কোথা সীমান্ত্মে শরত্ -ঊষার শ্বাস!
ঘুঘু- হরিয়াল - ডাহুক - গাঙচিল - বুনোহাঁস
নিবিড় কাননে তটিনীর কূলে যায় ফিরে ফিরে
বহু পুরাতন পরিচিত সেই সঙ্গী আসিল কি রে !
তারি লাগি ভায় ইন্দ্রধনুক নিবিড় মেঘের কূলে,
তারি লাগি আসে জোনাকি নামিয়া গিরিকন্দর মূলে!
ঝিনুক-নুড়ির অঞ্জলি ল য়ে কলরব ক রে ছুটে
নাচিয়া আসিছে অগাধ সিন্ধু তারি দু টি করপুটে|
তারি লাগি কোথা বালুপথে দেখা দেয় হীরকের কোণা,
তাহারি লগিয়া উজানী নদীর ঢেউয়ে ভেসে আসে সোনা!
চরকিতে পরশপাথর কুরায়ে বালকের মত হাসে
ছুঁড়ে ফেলে দেয় উদাসী বেদিয়া কোন্ সে নিরুদ্দেশে!
যত্ন করিয়া পালক কুড়ায়, কানে গোঁজে বনফুল,
চাহে না রতন -মণি-মঞ্জুষা হীরা-মানিকের দুল্,
-তার চেয়ে ভালো অমন ঊষার কনক-রোদের সিঁথি,
তার চেয়ে ভালো আলো-ঝল্মল্ শীতল শিশির- বীথি,
তার চেয়ে ভালো সুদূর গিরির গোধূলি-রঙিন জটা,
তার চেয়ে ভালো বেদিয়া বালার ক্ষিপ্র হাসির ছটা!
কি ভাষা বলে সে, কি বাণি জানায়, কিসের বারতা বহে!
মনে হয় যেন তারি তরে তবু দুটি কান পেতে রহে
আকাশ-বাতাস-আলোক-আঁধার মৌন স্বপ্নভরে,
মনে হয় যেন নিখিল বিশ্ব কোল পেতে তার তরে!
পিছু -ডাকে কভু আসে না ফিরিয়া, কে তারে আনবি ডাকি ?
উদাস উদাও হাওয়ার মতন চনিতে যায় সে উড়ে,
গলাটি তাহার সেধেছে অবাধ নদী-ঝণা©র সুরে ;
নয় সে বান্দা রংমহলের, মোতিমহলের বাঁদী,
ঝোড়ো হাওয়া সে যে, গৃহ-প্রাঙ্গনে কে তারে রাখিবে বাঁধি!
কোন্ সুদূরের বেনামী পথের নিশানা নেছে সে চিনি,
ব্যর্থ ব্যথিত প্রান্ত্মর তার চরন-চিহ্ন বিনে !
যুগযুগান্ত্ম কত কান্ত্মার তার পানে আছে চেয়ে,
কবে সে আসিবে ঊষর ধূসর বালুকা-পথটি বেয়ে,
তারি প্রতীক্ষা মেগে বসে আছে ব্যাকুল বিজন মরু|
দিকে দিকে কত নদী- নির্ঝর কত গিরি-চুড়া-তরু
ঐ বাঞ্ছিত বন্ধুর তরে আসন রেখেছে পেতে
কালো-মৃত্তিকা ঝরা-কুসুমের বন্দনা-মালা গেঁথে
ছড়ায়ে পরিছে দিকেদিগন্ত্মে ক্ষ্যাপা পথিকের লাগি!
বাবলা বনের মৃদুল গন্ধে বন্ধুর দেখা মেগি
লুটায়ে রয়েছে কোথা সীমান্ত্মে শরত্ -ঊষার শ্বাস!
ঘুঘু- হরিয়াল - ডাহুক - গাঙচিল - বুনোহাঁস
নিবিড় কাননে তটিনীর কূলে যায় ফিরে ফিরে
বহু পুরাতন পরিচিত সেই সঙ্গী আসিল কি রে !
তারি লাগি ভায় ইন্দ্রধনুক নিবিড় মেঘের কূলে,
তারি লাগি আসে জোনাকি নামিয়া গিরিকন্দর মূলে!
ঝিনুক-নুড়ির অঞ্জলি ল য়ে কলরব ক রে ছুটে
নাচিয়া আসিছে অগাধ সিন্ধু তারি দু টি করপুটে|
তারি লাগি কোথা বালুপথে দেখা দেয় হীরকের কোণা,
তাহারি লগিয়া উজানী নদীর ঢেউয়ে ভেসে আসে সোনা!
চরকিতে পরশপাথর কুরায়ে বালকের মত হাসে
ছুঁড়ে ফেলে দেয় উদাসী বেদিয়া কোন্ সে নিরুদ্দেশে!
যত্ন করিয়া পালক কুড়ায়, কানে গোঁজে বনফুল,
চাহে না রতন -মণি-মঞ্জুষা হীরা-মানিকের দুল্,
-তার চেয়ে ভালো অমন ঊষার কনক-রোদের সিঁথি,
তার চেয়ে ভালো আলো-ঝল্মল্ শীতল শিশির- বীথি,
তার চেয়ে ভালো সুদূর গিরির গোধূলি-রঙিন জটা,
তার চেয়ে ভালো বেদিয়া বালার ক্ষিপ্র হাসির ছটা!
কি ভাষা বলে সে, কি বাণি জানায়, কিসের বারতা বহে!
মনে হয় যেন তারি তরে তবু দুটি কান পেতে রহে
আকাশ-বাতাস-আলোক-আঁধার মৌন স্বপ্নভরে,
মনে হয় যেন নিখিল বিশ্ব কোল পেতে তার তরে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন